Friday, November 11, 2016

প্রচলিত কিছু নাম যেগুলো রাখা উচিৎ নয়

প্রচলিত কিছু নাম যেগুলো রাখা উচিৎ নয়

Huzurbari.blogspot.com 
আব্দুন্নববী, আব্দুর রাসূল, গোলাম নবী, গোলাম রসূল, গোলাম মুহাম্মাদ, গোলাম আহমাদ, গোলাম মুছতফা, গোলাম মুরতযা, নূর মুহাম্মাদ, নূর আহমাদ, মাদার বখ্শ, পীর বখ্শ, রূহুল আমীন, সুলতানুল আওলিয়া প্রভৃতি। এতদ্ব্যতীত (১) অহংকার মূলক নাম, যেমন খায়রুল বাশার, শাহজাহান, শাহ আলম, শাহানশাহ প্রভৃতি; (২) নবীগণের উপাধি, যেমন আবুল বাশার, নবীউল্লাহ, খলীলুল্লাহ, কালীমুল্লাহ, রূহুল্লাহ, মুহাম্মাদ আবুল কাসেম; (৩) কুরআনের আয়াতসমূহ, যেমন আলিফ লাম মীম, ত্বোয়াহা, ইয়াসীন, হা-মীম, লেতুনযেরা; (৪) অনর্থক নাম, যেমন লায়লুন নাহার, ক্বামারুন নাহার, আলিফ লায়লা ইত্যাদি। (৫) কুখ্যাত যালিমদের নাম, যেমন নমরূদ, ফিরাঊন, হামান, শাদ্দাদ, ক্বারূণ, মীরজাফর প্রমুখ । (৬) এতদ্ব্যতীত শী‘আদের অনুকরণে নামের আগে বা পিছে আলী, হাসান বা হোসায়েন নাম যোগ করা। (৭) এছাড়াও ঝন্টু, মন্টু, পিন্টু, মিন্টু, হাবলু, জিবলু, বেল্টু, শিপলু, ইতি, মিতি, খেন্তী, বিন্তী, মলী, নিভা, টিটো, ময়না, পাখি, চাপা, কেয়া, পপি, ডলি, পলি, বেবী, দিপ্তী, রিতা, টিংকু, সেতু, রিংকু, পিংকু, চঞ্চল, রেনুকা, লতা, পাতা, নাট, বল্টু, স্ক্রু ইত্যাদি অর্থহীন নামসমূহ।
আবার কেউ কেউ সন্তানের জন্যে দু’টি নাম নির্বাচন করে থাকেন। একটি হচ্ছে ‘ডাক নাম’। এ নামটি রাখা হয় অতি সংক্ষিপ্ত। এটি অনেক ক্ষেত্রে হয় অর্থহীন নাম। সবাই তাকে এ নামে ডাকে এবং এ নামে সে পরিচিতি লাভ করে। অপরটি হচ্ছে ‘আসল নাম’। এ নামটি প্রায় সবাই একটু বড় করে অর্থবহ নাম করণের চেষ্টা করেন। আসল নামটি কেবল কাগজে কলমে অর্থাৎ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সার্টিফিকেট, চাকুরী ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আসলে, যে নামে সন্তান পরিচিতি লাভ করবে এবং যে নামে সবাই সন্তানকে আজীবন ডাকবে সে নামটি অবশ্য হওয়া উচিত ভালো ও সন্দুর নাম।

Thursday, November 10, 2016

নামের প্রথমে মুহাম্মদ / মুসাম্মৎ ব্যবহার করা যাবে কি না ও সমাপ্তি কথা

নামের প্রথমে মুহাম্মদ / মুসাম্মৎ ব্যবহার করা যাবে কি নাঃ
Huzurbari.blogspot.com 
আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলিম পুরুষ তাদের নামের পূর্বে ‘মুহাম্মদ’ শব্দ ব্যবহার করে থাকেন। আর অধিকাংশ নারী নামের পূর্বে ব্যবহার করেন ‘মুসাম্মৎ’। ‘মুহাম্মদ’ শব্দটির সঠিক বানান ও উচ্চারণ হচ্ছে ‘মুহাম্মাদ’(محمد)  । এর অর্থ হচ্ছে ‘প্রশংসিত’। বিশ্বনবীর নাম ছিল ‘মুহাম্মদ’ (সাঃ)। ‘মুহাম্মদ’ শব্দটি হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ অর্থবোধক শব্দ এবং নাম। অধিকাংশ মুসলিম ‘মুহাম্মদ’ (সাঃ) এর নামের বরকত লাভের জন্যে উম্মত হিসেবে তাঁর প্রতি তারদের গভীর ভালবাসা, ভক্তি, শ্রদ্ধা, আনুগত্য প্রকাশ এবং তাওহীদবাদের ঘোষণা স্বরূপ নামের প্রথমে ‘মুহাম্মদ’ শব্দটি ব্যবহার করেন।
কিন্তু মুসলিম নারীগণের নামের প্রথমে ‘মুসাম্মৎ’ ব্যবহার করার কোন যৌক্তিকতা আছে বলে মনে হয় না। কারণ

শিশুদের একাধিক নামকরণ করা যায় কিনা

শিশুদের একাধিক নামকরণ করা যায় কিনা ঃ
Huzurbari.blogspot.com
নাম করণের ক্ষেত্রে মানুষের নাম একটিই থাকতে হবে, নাকি একাধিক হতে পারে? পবিত্র কোরআনে আমরা দেখতে পাই, আল্লাহ পাকের একাধিক গুণবাচক নাম রয়েছে। আল্লাহ পাক নিজেই বলেছেন, وَلِلَّهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ فَادْعُوهُ بِهَا “আল্লাহর অনেক সুন্দর (গুণবাচক) নাম রয়েছে, তোমরা সে নামগুলোতে তাঁকে ডাকো। (সূরা আরাফ, আয়াত-১৮০) 
আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ (সাঃ) এরও একাধিক নাম রয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক তার হাবীব মুহাম্মদ (সাঃ) কে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন

Wednesday, November 9, 2016

কতিপয় শিরক ও অপবিত্রকর নামঃ

কতিপয় শিরক ও অপবিত্রকর নামঃ
Huzurbari.blogspot.com
গায়রুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি, প্রানী বা বস্তুর নামের সাথে "আবদ' (গোলাম/দাস/বান্দা) যুক্ত করে নামকরণ করা এক প্রকারের শিরক। কারন "আবদ' শব্দটি কেবল মাত্র আল্লাহ পাকের নামের সাথেই যুক্ত হতে পারে। দুনিয়ার সকল মানুষ কেবল মাত্র আল্লাহর’ই গোলাম, অন্য কারো নয়। যেমন আবদুশ শামস (সূর্যের বান্দা), আব্দুল আলী (আলীর বান্দা), বন্দে আলী (আলীর বান্দা), আবিদ আলী (আলীর ইবাদতকারী), আবদুন নবী (নবীর বান্দা), ইত্যাদি।
অন্যদিকে হযরত মুহা¤মদ (সাঃ) এর নামের সাথে ও "আবদ' (গোলাম/বান্দা/দাস) ইত্যাদি সংযুক্ত করে নাম করা শিরক। যেমন আবদুন নবী (নবীর বান্দা), গোলাম মুস্তফা (মুস্তফার গোলাম), গোলাম মুহাম্দম (মুহাম্মদের গোলাম) গোলাম (আলীর গোলাম), নূর নবী (নবীর জ্যোতি) ইত্যাদি।

Tuesday, November 8, 2016

আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম

আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম ঃ
Huzurbari.blogspot.com
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সুন্দরকে ভালবাসেন।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
নামের ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে সুন্দর ও পছন্দনীয় নাম হচ্ছে

ভাল নামের সুফল ও মন্দ নামের কুফল

ভাল নামের সুফলt
Huzurbari.blogspot.com
মানব জীবনে তার নাম ও নামের অর্থ গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। ভাল নামের বদৌলতে অনেক সময় মানুষের চরিত্র, চালচলন ও আচার-ব্যবহার হয় উন্নত এবং জীবন হয় সুন্দর। নাম সুন্দর ও অর্থবহ হলে কেউ যদি কাউকে তার নাম জিজ্ঞেস করে তখন সে জোরে তার নামটি বলতে লজ্জাবোধ করে না; বরং সে মনে আনন্দ পায়। অন্যদিকে কেউ যদি কাউকে ভাল নামে ডাকে, তাহলে তার সে ডাকটিও হয়তো দোয়ায় পরিণত হয়ে যেতে পারে। যেমন কেউ যদি কাউকে নাম নিয়ে ডাক দেয় “ওহে খাদিমুল ইসলাম। অর্থাৎ হে ইসলামের সেবক এবং এ নামে যদি বারবার ডাকে, তাহলে এরই বিনিময়ে আল্লাহর মেহেরবানীত হয়তো একদিন সে সত্যিই ইসলামের একজন সেবক হয়ে যেতে পারে।
মন্দ নামের কুফলt
Huzurbari.blogspot.com
পূর্বেই বলা হয়েছে, মানব জীবনে নাম ও নামের অর্থ গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। তাই একদিকে যেমন ভাল নাম জীবনকে যেমন সুন্দর করে, অন্যদিকে খারাপ নাম মানব জীবনে অনেক ক্ষেত্রে বয়ে আনে দুঃখ, দুর্দশা ও অশুভ পরিনতি। নাম অসুন্দর ও খারাপ অর্থের হলে তা কারো নিকট বলতেও নামধারী লোক লজ্জাবোধ করে। মন্দ নাম যে মানব জীবনে করুণ পরিণতি ডেকে আনে এর একটি বাস্তব ঘটনা হলোঃ
উহুদের যুদ্ধে বিশ্বনবী (সাঃ)-এর চাচা

পূর্বের নাম পরিবর্তন করা যায় কি না

পূর্বের নাম পরিবর্তন করা যায় কি নাt
Huzurbari.blogspot.com
আমাদের দেশে অনেকের ধারণা, সন্তানের নামকরণের পর তা আর পরিবর্তন করা যায় না। শিশুকালের নাম পরিবর্তন করা অশুভ। আসলে তা ঠিক নয়। নাম যদি ভাল, সুন্দর ও অর্থবহ না হয়, তাহলে তা অবশ্যই পরিবর্তন করে ইসলামী ভাল নাম রাখা যায় এবং রাখা উচিত। আল্লাহর রাসূল (সাঃ)-এর নিকট কেউ আসলে তিনি তার নাম জিজ্ঞেস করতেন। নাম সুন্দর, অর্থবহ ও পছন্দ হলে তিনি খুশী হতেন। আর অপছন্দ, অশুভ, ঘৃণ্য, অর্থহীন নাম হলে তার মুখমন্ডলে বিরক্তির ভাব প্রকাশ পেত এবং অধিকাংশ সময় তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেই নাম পরিবর্তন করে দিতেন।
হযরত রায়তা বিনতে মুসলিম তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা বলেন, হুনায়নের যুদ্ধে আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি আমার নাম জিজ্ঞেস করলে আমি বললাম, গুরাব (কাক)। তিনি বললেন, না, তুমি মুসলিম। সহীহ বুখারী ও আবু দাউদ।
এমনিভাবে হিজরতের পূর্বে মদীনার নাম ছিল “ইয়াছরিব (দোষ দেয়া)। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর হিজরত করে মদীনায় আসার পর এর নাম রাখা হয় মদীনাতুন নবী অর্থাৎ নবীর নগর বা দেশ।

পিতার নামেই সন্তানের পরিচিতি এ জন্য ভাল নাম রাখা পিতার দ্বায়িত্ব

পিতার নামেই সন্তানের পরিচিতি
Huzurbari.blogspot.com
সন্তান পরিচিতি লাভ করবে পিতার নামেই। আমরা কারো সঠিক পরিচয় দানের ক্ষেত্রে কিংবা শনাক্তকরণের জন্যে পিতার নাম ব্যবহার করে থাকি। এটা কিন্তু আমাদের মনগড়া নয়; বরং তা ইসলামের নির্দেশ। কারো পরিচয় দানের ক্ষেত্রে পিতার নাম যুক্ত হওয়া আল্লাহ পাকের নিকট পছন্দনীয়। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,
ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِندَ اللَّهِ তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত। (সূরা আহযাব, আয়াত-৫) নামের সাথে পিতার নাম যুক্ত করে পরিচয় দেয়াই কুরআন ও সুন্নাহর প্রকৃত শিক্ষা। হযরত আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
انكم تُدْعَوْنَ يومَ القيامةِ بِأسْمائِكُمْ وأسماءِ أبائِكم فحسَّنوا اسمائَكم
কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে ডাকা হবে তোমাদের নামে এবং তোমাদের পিতার নামে। অতএব, তোমাদের নামগুলো সুন্দর রাখো। (আবু দাঊদ, বায়কাকী ও মুসনাদে আহমদ)
সন্তানের ভাল নাম রাখা পিতার কর্তব্যঃ
Huzurbari.blogspot.com
সন্তানের নামকরণ করা পিতার দায়িত্ব এবং পিতাই এর প্রকৃত হকদার। সন্তানের জন্য ভাল নাম রাখা এটা ইসলামের দেয়া পিতার ওপর এক আমানত। তাই প্রত্যেক পিতার কর্তব্য হলো

মুসলমানদের জন্য আরবী নামের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

মুসলমানেদের জন্যে আরবী নামের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাঃ
Huzurbari.blogspot.com
পৃথিবীতে যত ভাষা আছে সব ভাষারই মর্যাদা রয়েছে। মানুষ যে ভাষাতেই কথা বলুক এবং যে ভাষাতেই আল্লাহ পাককে স্মরণ করুক না কেন, আল্লাহ পাক সব জানেন এবং শোনেন। তদুপরি পবিত্র কোরআন ও হাদীসে বিশেষভাবে আরবী ভাষার মাহত্ন্য, গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। আর তাই আমরা বলতে পারি, যেহেতু পবিত্র কোরআনের ভাষা আরবী, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ভাষা ছিল আরবী এবং জান্নাতের ভাষাও হবে আরবী। সেহেতু আরবী ভাষার মাধ্যমে গড়ে উঠে বিশ্ব মুসলিমের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব। আমেরিকা থেকে অষ্ট্রেলিয়া, পামীর থেকে পিরেনীজ, কাশ্মীর থেকে কন্যা কুমারী

সন্তানের নামকরণের সময়কাল

সন্তানের নামকরণের সময়কাল
Huzurbari.blogspot.com
সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে অথবা এর পূর্বে যে কোন দিন শিশুর নামকরণ করা যায়। এ ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম প্রসারিত। এমনকি কোন কারণে তিন বা সাত দিনে শিশুর নামকরণ করা না হলে পরেও করা জায়েয। এতে ইসলামী শরীয়ায় কোন বাঁধা-নিষেধ নেই বলে কেউ কেউ মত প্রকাশ করেছেন। তবে বিলম্ব না করে জন্মের পর পরই তাড়াতাড়ি নামকরণ করা সুন্নত বা উত্তম। এতে তাকে শনাক্তকরণে বা চিহ্নিতকরণে সুবিধা হয় । হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
عقَّ رسولُ الله (ص) عنِ الْحَسَنِ والْحُسَيْنِ يوْمَ السَّابِعِ وسَمَّاهُمَا
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত হাসান (রাঃ) ও হোসাইনের (রাঃ) আকীকা করলেন জন্মের সপ্তম দিনে এবং তাদের দুই জনের নাম রাখলেন। (ইবনে হাব্বান ও আল মুস্তাদরাকে হাকিম।)
হযরত আমর ইবনে শুয়াইব তার পিতা হতে- তার দাদা
হতে র্বণনা করনে,
اَمَرَنِيْ رسولُ الله (ص) بِتَسْمِيَةِ الْمَوْلُوْدِ لِسَابِعِهِ-
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে তার নামকরণ করতে আদেশ দিয়েছেন। (তিরমিযী)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
اِذْ كانَ يوْمُ السَّابِعِ لِلْمَوْلُوْدِ فَانْهِرُوْا عَنْهُ دَمًا وَاَمِيْطُوْا عَنْهُ الْاَذَي وَسَمُّوْهُ-
সন্তানের জন্মের সপ্তম দিনে তার নামে রক্ত প্রবাহিত কর, তার শরীরের ময়লা দূর কর এবং তার নামকরণ কর। (দারা কুতনী ফিল আওসাত)
عن ابي موسي (رض) قال وُلِدَ لِيْ غُلَاْمٌ فَاَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ (ص) فَسَمَّاْهُ اِبْرَاهِيْمَ فَحَنَكَهُ بِتَمَرَةٍ وَدَعَاْلَهُ بِالْبَرْكَةِ وَدَفَغَهُ اِلَيَّ وكان اكْبَرُ وَلَدِ اَبِيْ مُوْسَي-
হযরত আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করলে আমি তাকে সঙ্গে করে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহীম এবং একটি খেজুর দিয়ে তিনি তার তাহনিক করলেন। আর তার জন্যে বরকতের দোয়া করলেন। অতপর তাকে আমার কোলে ফিরিয়ে দিলেন। ইবরাহীম ছিল হযরত আবু মূসা (রাঃ) এর বড় সন্তান। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

ইসলামে শিশুর নামকরণের গুরুত্ব



Huzurbari.blogspot.com
ইসলামে নামকরণের গুরুত্ব অপরিসীম। যে কোন জিনিসকেই চিহ্নিতকরণ বা শনাক্তকরণের জন্যে এর নামকরণ করা হয় থাকে। কিন্তু চিহ্নিতকরণ বা শনাক্তকরনেই নামকরণের আসল বা একমাত্র উদ্দেশ্য নয়; বরং ইসলামী ভাবধারা সম্বলিত নামকরণ হচ্ছে ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামে নামকরণ এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করার পর অল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম তাঁকে বিভিন্ন জিনিসের নাম শিক্ষা দিয়ে বলেন,-
وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ أَنبِئُونِي بِأَسْمَاءِ هَٰؤُلَاءِ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ -قَالُوا سُبْحَانَكَ لَا عِلْمَ لَنَا إِلَّا مَا عَلَّمْتَنَا ۖ إِنَّكَ أَنتَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ
আর আল্লাহ তা’আলা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম। তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। অতঃপর বললেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক। তারা বলল, তুমি পবিত্র! আমরা কোন কিছুই জানি না, তবে তুমি যা আমাদিগকে শিখিয়েছ (সেগুলো ব্যতীত) নিশ্চয় তুমিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।(সূরা আল বাক্বারা, আয়াত- ৩১,৩২)
পবিত্র কোরআনে সর্বপ্রথম

ইসলামের আলোকে শিশুদের নামকরণ।ভূমিকা ও রম্যকথাঃ

Huzurbari.blogspot.com

ভূমিকা ঃ
আরবীতে একটা প্রবাদ আছে যার বাংলা অর্থ হলো “প্রত্যেক ব্যক্তির নাম অনুযায়ী তার নসীব। আর শেক্সপিয়ারের উক্তি হলো “ভাল নাম নর-নারীর মনের মুকুরের প্রত্যক্ষ মণি। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেন তোমাদের নাম গুলো সুন্দর রাখো।” ইসলামী ভাবধারা সম্বলিত নামকরণ ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নামকরণ অনেক ক্ষেত্রে মানুষের চিন্তা, চেতনা ও মানসিকতার উপর প্রভাব ফেলে এবং নামের দ্বারা মানুষের ব্যক্তিত্বেরও বিকাশ ঘঠে। তাই শিশু জন্মলাভের পর তার জন্যে ভাল ও সুন্দর নামকরণ করা উচিত।কারণ প্রত্যেক শিশুই একটি ভাল নামের অধিকার নিয়ে জন্ম গ্রহন করে।
নাম নিয়ে রম্য কথা ঃ
আমাদের দেশে অনেক পিতা-মাতাই সন্তান জন্মলাভের পর তার জন্যে একটি ভাল সুন্দর নামের জন্যে পেরেশানী ভোগ করেন। বিভিন্ন বই পত্রে খুজতে থাকেন একটি সুন্দর নাম। বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিকট বলে থাকেন আমাকে একটি সুন্দর নাম দিন। ইদানীং আমাদের কারো মধ্যে এমন প্রবণতাও দেখা দিয়েছে যে, সন্তানের জন্যে এমন একটি নাম হওয়া চাই, যা অত্র মহল্লায়, গ্রামে, ইউনিয়নে, থানায় কারোর নেই। এ প্রবণতার বশবর্তী হয়ে কেউ কেউ সন্তানের জন্যে এমন অদ্ভুত ও বিচিত্র নামকরণ করে থাকেন, যে নাম মহল্লায় বা গ্রামে পাওয়া তো দূরের কথা কেবল নাম শুনে বুঝার কোনো উপায় নেই যে, এটা কোন মানুষের নাম, নাকি জীবজন্তু বা পশু-পাখির নাম। আর মানুষের নাম হলে সে কি ছেলে না মেয়ে? মুসলিম নাকি অমুসলিম। যেমনঃ (দুঃখিত) নিভা, টিটো, ময়না, পাখি, চাপা, কেয়া, পপি, ডলি, পলি, বেবী, দিপ্তী, রিতা, টিংকু, সেতু, রিংকু, পিংকু, চঞ্চল, রেনুকা, লতা, পাতা, নাট, বল্টু, স্ক্রু ইত্যাদি।
আবার কেউ কেউ সন্তানের জন্যে দুটি নাম নির্বাচন করে থাকেন। একটি হচ্ছে ডাক নাম। এ নামটি রাখা হয় অতি সংক্ষিপ্ত। এটি অনেক ক্ষেত্রে হয় অর্থহীন নাম। সবাই তাকে এ নামে ডাকে এবং এ নামেই সে পরিচিতি লাভ করে। অপরটি হচ্ছে আসল নাম। এ নামটি প্রায় সবাই একটু বড় করে অর্থবহ নামকরণের চেষ্টা করেন। আসল নামটি কেবল কাগজে কলমে অর্থাৎ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সার্টিফিকেট, চাকুরী ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আসলে, যে নামে সন্তান পরিচিতি লাভ করবে এবং যে নামে সবাই সন্তানকে আজীবন ডাকবে সে নামটি অবশ্য হওয়া উচিত ভালো ও সন্দুর নাম।