মাতা-পিতার গুরুত্ব ও অবদান
আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) ব্যতীত সকল মানুষকেই আল্লাহ্ তাআলা সৃষ্টি করেছেন পিতার ঔরষে এবং মাতার গর্ভের মাধ্যমে অসহায় শিশু রূপে। আল্লাহ্ তাআলা আল কুরআনে ঘোষণা করেছেন,
وَاللَّهُ أَخْرَجَكُم مِّن بُطُونِ أُمَّهَاتِكُمْ لاَ تَعْلَمُونَ شَيْئًا وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالأَبْصَارَ وَالأَفْئِدَةَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ﴿النحل: ٧٨
“আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে বের (সৃষ্টি) করেছেন। তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদেরকে কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর দিয়েছেন, যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার কর।-নাহাল ঃ ৭৮
অতপর এ ছোট শিশুটি দুনিয়ার মানুষের আদর যত্ন স্নেহ, মায়া-মমতা ও ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় অবদান মাতা-পিতার, সে জন্যই মাতা-পিতার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার জন্য আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলার সবচেয়ে সুন্দরতম সৃষ্টি হচ্ছে মানুষ। অন্যান্য জন্তু বা প্রাণী জন্মের পর পরই নিজের চাহিদা নিজেই পুরণ করতে শিখে। কিন্তু সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষ শুরু থেকেই থাকে অসহায়। সেই অসহায় শিশুটিকে যারা বুক দিয়ে আগলে রাখেন বিভিন্ন বিপদ-আপদ ও প্রয়োজনে এগিয়ে আসেন তারা হচ্ছেন পিতা মাতা। তাইতো মাতা পিতা ও সন্তান সন্ততির মধ্যে গড়ে উঠে নিবিড় সম্পর্ক। সৃষ্টিগত সেই সম্পর্ক আরও প্রানবন্ত ও দায়িত্বপূর্ণ করে তুলতে মানবতার ধর্ম ইসলাম দিয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। কোন সন্তান যাতে মাতা-পিতার অনবদ্য অবদান ভুলে তাদের সাথে অনাকাঙ্খিত আচরণ না করে সে ব্যাপারে ইসলাম কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছে ।
তাই সন্তানের জীবনে মাতা পিতার গুরুত্ব অপরিসীম এবং তাদের অবদান অনস্বীকার্য। মাতা অক্লান্ত পরিশ্রম করে গর্ভধারণ করেন, লালন পালন করেন। রোগ শোকে সেবা শুশ্রƒষা করেন। নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ান। নিজের আরাম আয়েশ বিসর্জন দিয়ে সন্তানদের কল্যাণে জীবনপাত করেন। পিতাও অক্লান্ত পরিশ্রমে লালন পালন করেন। ইসলাম শুধু তাদের কষ্টের স্বীকৃতিই দেয়নি বরং তাদেরকে সম্মানের সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন করেছে এবং সন্তানদেরকে পিতা মাতার অধিকার রক্ষার তাগিদ দিয়েছে।