Tuesday, November 8, 2016

ইসলামের আলোকে শিশুদের নামকরণ।ভূমিকা ও রম্যকথাঃ

Huzurbari.blogspot.com

ভূমিকা ঃ
আরবীতে একটা প্রবাদ আছে যার বাংলা অর্থ হলো “প্রত্যেক ব্যক্তির নাম অনুযায়ী তার নসীব। আর শেক্সপিয়ারের উক্তি হলো “ভাল নাম নর-নারীর মনের মুকুরের প্রত্যক্ষ মণি। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেন তোমাদের নাম গুলো সুন্দর রাখো।” ইসলামী ভাবধারা সম্বলিত নামকরণ ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নামকরণ অনেক ক্ষেত্রে মানুষের চিন্তা, চেতনা ও মানসিকতার উপর প্রভাব ফেলে এবং নামের দ্বারা মানুষের ব্যক্তিত্বেরও বিকাশ ঘঠে। তাই শিশু জন্মলাভের পর তার জন্যে ভাল ও সুন্দর নামকরণ করা উচিত।কারণ প্রত্যেক শিশুই একটি ভাল নামের অধিকার নিয়ে জন্ম গ্রহন করে।
নাম নিয়ে রম্য কথা ঃ
আমাদের দেশে অনেক পিতা-মাতাই সন্তান জন্মলাভের পর তার জন্যে একটি ভাল সুন্দর নামের জন্যে পেরেশানী ভোগ করেন। বিভিন্ন বই পত্রে খুজতে থাকেন একটি সুন্দর নাম। বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিকট বলে থাকেন আমাকে একটি সুন্দর নাম দিন। ইদানীং আমাদের কারো মধ্যে এমন প্রবণতাও দেখা দিয়েছে যে, সন্তানের জন্যে এমন একটি নাম হওয়া চাই, যা অত্র মহল্লায়, গ্রামে, ইউনিয়নে, থানায় কারোর নেই। এ প্রবণতার বশবর্তী হয়ে কেউ কেউ সন্তানের জন্যে এমন অদ্ভুত ও বিচিত্র নামকরণ করে থাকেন, যে নাম মহল্লায় বা গ্রামে পাওয়া তো দূরের কথা কেবল নাম শুনে বুঝার কোনো উপায় নেই যে, এটা কোন মানুষের নাম, নাকি জীবজন্তু বা পশু-পাখির নাম। আর মানুষের নাম হলে সে কি ছেলে না মেয়ে? মুসলিম নাকি অমুসলিম। যেমনঃ (দুঃখিত) নিভা, টিটো, ময়না, পাখি, চাপা, কেয়া, পপি, ডলি, পলি, বেবী, দিপ্তী, রিতা, টিংকু, সেতু, রিংকু, পিংকু, চঞ্চল, রেনুকা, লতা, পাতা, নাট, বল্টু, স্ক্রু ইত্যাদি।
আবার কেউ কেউ সন্তানের জন্যে দুটি নাম নির্বাচন করে থাকেন। একটি হচ্ছে ডাক নাম। এ নামটি রাখা হয় অতি সংক্ষিপ্ত। এটি অনেক ক্ষেত্রে হয় অর্থহীন নাম। সবাই তাকে এ নামে ডাকে এবং এ নামেই সে পরিচিতি লাভ করে। অপরটি হচ্ছে আসল নাম। এ নামটি প্রায় সবাই একটু বড় করে অর্থবহ নামকরণের চেষ্টা করেন। আসল নামটি কেবল কাগজে কলমে অর্থাৎ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সার্টিফিকেট, চাকুরী ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আসলে, যে নামে সন্তান পরিচিতি লাভ করবে এবং যে নামে সবাই সন্তানকে আজীবন ডাকবে সে নামটি অবশ্য হওয়া উচিত ভালো ও সন্দুর নাম।


No comments:

Post a Comment