Tuesday, November 8, 2016

মুসলমানদের জন্য আরবী নামের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

মুসলমানেদের জন্যে আরবী নামের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাঃ
Huzurbari.blogspot.com
পৃথিবীতে যত ভাষা আছে সব ভাষারই মর্যাদা রয়েছে। মানুষ যে ভাষাতেই কথা বলুক এবং যে ভাষাতেই আল্লাহ পাককে স্মরণ করুক না কেন, আল্লাহ পাক সব জানেন এবং শোনেন। তদুপরি পবিত্র কোরআন ও হাদীসে বিশেষভাবে আরবী ভাষার মাহত্ন্য, গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। আর তাই আমরা বলতে পারি, যেহেতু পবিত্র কোরআনের ভাষা আরবী, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ভাষা ছিল আরবী এবং জান্নাতের ভাষাও হবে আরবী। সেহেতু আরবী ভাষার মাধ্যমে গড়ে উঠে বিশ্ব মুসলিমের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব। আমেরিকা থেকে অষ্ট্রেলিয়া, পামীর থেকে পিরেনীজ, কাশ্মীর থেকে কন্যা কুমারী
যেখানেই এই মুসলিম বাস করুক না কেন, তাদের মাঝে যত বৈচিত্র্যই থাকুক না কেন, আরবী নামের মাধ্যমেই তাদের ঐক্য-সংহতি খুজে পাওয়া যায়। যেমনঃ কোন মুসলিম বিশ্বের যে কোন দেশে যে কোন অঞ্চলেই বাস করুক না কেন, তার নামটি গুনেই বুঝা যায় সে আল্লাহর বান্দা মুসলমান। আরবী নাম গ্রহণের বদৌলতেই তিনি পরিচিত হন মুসলিম হিসেবে এবং এরই বদৌলতে জোরদার হয় বিশ্ব মুসলিম ঐক্য, সংহতি ও ভ্যাতৃত্ববোধ। মুসলিম বিশ্বের এই ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরো জোরদার করার জন্যে প্রয়োজন আরবী নামকরণের ব্যাপক প্রচলন।
মনে রাখতে হবে যে, আরবী ভাষায় সব নামই ইসলামী নাম নয়। যে সকল আরবী নামের অর্থের মধ্যে শিরক লুক্বায়িত থাকে কিংবা যে সকল আরবী নামের অর্থ আপত্তিকর বা যার কোন যথার্থ অর্থ নেই, সেই সকল আরবী নামগুলো অবশ্যই পরিত্যাজ্য। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সাঃ) নির্দেশিত পন্থায় নামকরণই হচ্ছে ইসলামী নাম।
ইসলামে নামের যে রতœ ভান্ডার আছে তা বর্জন করে অন্য ভাষায় নামকরণ ইহুদীদের মান্না ও সালওয়ার (المن والسلوي) মতো বরকত পূর্ণ জান্নাতী খাদ্য পরিত্যাগ করে মাটি থেকে উৎপন্ন খাদ্যাদি পছন্দ করার মতোই সর্বনাশা হঠকারি সিদ্ধান্ত। এ প্রসঙ্গে কুরআন শরীফে তাদের উদ্দেশ্যে যা বলা হয়েছে তা সর্বকালেই সর্বলোকের জন্য প্রযোজ্যঃ
قَالَ أَتَسْتَبْدِلُونَ الَّذِي هُوَ أَدْنَىٰ بِالَّذِي هُوَ خَيْرٌ
তোমরা কি উৎকৃষ্টতর বস্তুকে নিকৃষ্টতর বস্তুর সাথে বদল করতে চাও? (সূরা আল বাক্বারা, আয়াত - ৬১)

No comments:

Post a Comment